শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
সম্পর্কের মধ্যে “ক্ষমতা” শব্দটাকে টেনে আনতে আমরা কেউই পছন্দ করি না। একটা সুস্থ সম্পর্কে থাকবে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা এবং সবকিছু ভাগ করে নেওয়ার আশ্বাস। আসলে সম্পর্কের গুরুত্ব যার কাছে কম তার হাতেই বেশি ক্ষমতা চলে আসে। পাশাপাশি কোনও একজনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কম থাকলে অর্থাৎ সে যদি হীন্মন্যতায় ভোগে তাহলেও চেষ্টা করে সর্বদা নিজের কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিতে।
অন্যজন যতই ভালবাসাকে বেশি প্রাধান্য দিক, সবই যদি একজনের সিদ্ধান্ত মতো চলে তাহলেতো মুশকিল! এরফলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গাটা শুধুমাত্র একজনের দখলে থেকে যায়। আর দূরত্বের শুরুটা হয় সেখান থেকেই।
যেভাবে করবেন সমাধান
১. যেটা করতে পারেন তা হল, সঙ্গীর এই স্বভাব মেনে নেওয়া। তার সিদ্ধান্তগুলোই মেনে চলা। এতে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হয়তো হবে, পাওয়া যাবে কিছুটা সহযোগিতার আশ্বাস। তবে দীর্ঘদিন এইভাবে চলা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবেই। নিজেকে গুরুত্বহীন করে রাখতে কেইবা কতদিন পারে?
২. সহযোগিতা পাওয়ার জন্য লড়াই করা। এতে কিন্তু দুটো ফল হতে পারে। আপনার পার্টনার যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে তো সমাধানও আপনারা পেয়ে গেলেন। তবে তিনি যদি ভাবেন যে আপনি অকারণে ঝগড়া করছেন, তাহলেও কিন্তু বেশি আঘাত পাবেন আপনিই।
৩. এতেও সমাধান না হলে স্পষ্ট করে অন্যজনকে বলে দিন যে তিনি আপনার পাশে না থাকলেও আপনি নিজের কাজ নিজে করতে সক্ষম। আশা করা যায় এতে আপনার পার্টনার নিজের ভুল বুঝবেন। তবে আপনি নিজে যদি এই সম্পর্কের উপর খুব বেশি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এই কাজটা আপনি নিজেই করে উঠতে পারবেন না।
৪. সমাধান লুকিয়ে আছে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসে। একটি সম্পর্কে যখন দু’জন দু’জনকে বিশ্বাস করেন তখন কোথাও না কোথাও এই বিশ্বাসটাও থাকে যে তারা একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না। দু’জনের ওপরেই প্রভাব ফেলবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন অন্যজনের ছোট-ছোট প্রয়োজন ও ইচ্ছেগুলোকেও গুরুত্ব দেবে, থাকে এই বিশ্বাসও।
মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তো আর শুধু “ক্ষমতায়” সীমাবদ্ধ নয়। তাই একটু চেষ্টা করলে বন্ধুত্ব, ভালবাসা, সম্মান এসবের কাছেই হেরে যাবে ক্ষমতার লড়াই! সূত্র:ঢাকাট্রিবিউন।
ভয়েস/জেইউ।